লালমনিরহাটে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ নেতার হামলায় ইউপি সদস্য গুরুত্বর আহত হওয়ার প্রতিবাদে জাতীয় মহাসড়কে অবরোধ করেছেন পরিষদের অন্যান্য ইউপি সদস্যবৃন্দ। তৎক্ষণিক উপজেলা চেয়ারম্যানের আশ্বাসে অবরোধ স্থগিত করেছেন ইউপি সদস্যরা।
লালমনিরহাট জেলার লালমনিরহাট সদর উপজেলার মহেন্দ্রনগর ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্য এরশাদুল হক বাংলাদেশ ছাত্রলীগ মহেন্দ্রনগর ইউনিয়ন শাখার সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ রতনের হামলায় গুরুত্বর আহত হওয়ার অভিযোগে এ অবরোধ করেন।
এরশাদুল হক (৩৮) তিনি মহেন্দ্রনগর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের বর্তমান ইউপি সদস্য এবং ঐ এলাকার সাবেক আনোয়ার মেম্বারের ছেলে।
বুধবার ( ৯এপ্রিল) বিকেলে লালমনিরহাটের মহেন্দ্রনগর ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে এ ঘটনাটি ঘটে।
৯নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ওয়াসিম জানান, আমরা বাকি সদস্যরা প্রতিদিনের ন্যায় যে যার মতো করে কাজে ব্যস্ত ছিলাম পরিষদে। এমতাবস্তায় মহেন্দ্রনগর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এসে তাকে এলোপাথারী মারধর শুরু করেলে, সে গুরুত্বর আহত হন। এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচারের দাবিতে সড়ক অবরোধ করেছি, সুষ্ঠু বিচার না হওয়া পর্যন্ত আমরা অবরোধ তুলে নিবো না।
৪, ৫ ও ৬ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা সদস্য মমতাজ বেগম বলেন, আমাদের সদস্যকে ছাত্রলীগের কয়েকজন ছেলেপেলে হামলা করেছে তিনি গুরুত্বর আহত হয়ে মেডিকেলে ভর্তি হয়েছে আমরা এর সুষ্ঠু বিচারের দাবিতে সড়ক অবরোধ করেছি। তিনি আরও বলেন, এর আগেও একবার আমাদের অন্য এক মেম্বারকে আহত করেছিল তার কোন বিচার পাইনি।
পরে ঘটনাস্থলে লালমনিরহাট সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান সুজন এসে তাদের সাথে কথা বলে বিচারের আশ্বাস দিলে অবরোধ তুলে নেন বিক্ষুব্ধ ইউপি সদস্যগণ।
লালমনিরহাট সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান সুজন বলেন, আমি ঘটনা অবগত হওয়ার সাথে সাথে ছুটে এসেছি, এখন ঈদের সময় মানুষ ঢাকা থেকে বা দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ঘরে ফিরছে এ সময় সড়ক অবরোধ মানুষের জন্য একটি কষ্টদায়ক ব্যাপার, আমরা বিষয়টি পরবর্তীতে বসে এর একটি সুষ্ঠু সমাধান করবার চেষ্টা করব।
এদিকে মহেন্দ্রনগর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি সুমন রায় তৎক্ষণিক এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের বলেন, এটি তাদের একটি পারিবারিক ব্যাপার এর সাথে ছাত্রলীগ কোন ভাবেই জড়িত না। এরশাদুল মেম্বারের সাথে ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের একটি আর্থিক লেনদেন ঘটিত ব্যাপার এই ঘটনায় আমার সাধারণ সম্পাদক ও বেশ গুরুত্বর আহত হয়েছে। তিনি আরও বলেন, মহেন্দ্রনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা হওয়ায় তিনি ইউনিয়ন ছাত্রলীগকে একটি বিতর্কে জড়ানোর চক্রান্ত করছেন।
এ বিষয়ে লালমনিরহাট সদর থানা অফিসার ইনচার্জ ওমর ফারুক বলেন, এ ঘটনায় কোন অভিযোগ পাইনি অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।